আজ ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাঁধের স্পিলওয়ে গেট


অনলাইন ডেস্ক

টানা বৃষ্টি ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদে এবার পানির প্রবাহ অনেক বেড়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে পাহাড়ের নিম্নাঞ্চল এছাড়াও অনেক উপজেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তাই বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুলে দেওয়া হয়েছে কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাঁধের স্পিলওয়ে (গেট)। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হচ্ছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাপ্তাই হ্রদের পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শুক্রবার সকালে বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খোলার মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি বের করে দেওয়া হবে। এতে আরও জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে ১০৭ দশমিক ৫৪ এমএসএল (মিন সি লেবেল) পানি রয়েছে। ফলে হ্রদের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য শুক্রবার সকাল ১০টায় পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের গেট উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু হবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পানির পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে এই আদেশ পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটি এম আবদুজ্জাহের বলেন, আজ স্পিলওয়ে খোলার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি আরও পর্যবেক্ষণ করবো। পরবর্তী পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাপ্তাই বাঁধের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার কাছাকাছি চলে যাওয়ার ফলে রাঙামাটি জেলার লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি ও রাঙামাটি সদরের অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চল হ্রদের পানিতে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং না হওয়া ও অপরিকল্পিতভাবে হ্রদ দখল করে ভবন নির্মাণের ফলে হ্রদের নাব্যতা কমে গিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশ্লেষকরা।

কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে পানিতে ডুবে আছে সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত ঝুলন্ত সেতু।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর